ফেসবুক নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছূ নেই। সবচেয়ে জনপ্রিয় সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট, ইচ্ছে করলে যে কোন সময় নিজের নাম লিখিয়ে সদস্য হতে পারেন, অল্প কথায় আপনার বক্তব্য প্রকাশ করতে পারেন, ছবি সেখানে রেখে অন্যদের দেখাতে পারেন। এর মাধ্যমে অন্য ফেসবুক সদস্যদের সাথে বন্ধুত্ব গড়তে পারেন। যাকে পছন্দ তারজন্য লাইক বাটনে ক্লিক করবেন। বেশি বন্ধু বিষয়টিকে কৃতিত্ব হিসেবে দেখা হয়। বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনেকের রয়েছে লক্ষ লক্ষ বন্ধু।
আপনার ফেসবুকের বন্ধুর সংখ্যাকে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বলা হয় ফেসবুকের ব্যবহারকারী ৭০ কোটি। কাজেই বড় ধরনের সুযোগ সেখানে রয়েছে।
প্রথম কথা, আপনার বন্ধু বেশি এই কারনে ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে না। আপনাকে আয় করতে হবে একে প্রচার কাজে ব্যবহার করে। কি কি পদ্ধতিতে সেটা করা যায় জানা যাক।
. আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার এর মত সাইট দেখেন সেখানে অনেকে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে অত সংখ্যক ফেসবুক (কিংবা টুইটার) ভক্ত চাই। অনেক সময় নির্দিষ্ট করে আমেরিকার কথা উল্লেখ করা হয়। আপনার যদি সেই পরিমান বন্ধু থাকে তাহলে আপনি সেখানে নিজের নাম লেখানোর অর্থ আপনার বন্ধুদের নাম লেখানো। আপত্তিকর শোনাতে পারে, আপনার বন্ধুদের নাম তারকাছে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা। আপনার বন্ধু যত বেশি আয় তত বেশি।
. এফিলিয়েটে মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা। আপনি কোন প্রতিস্ঠানের এফিলিয়েশন নেবেন। তাদের পন্য বা সেবার কথা লিংকসহ উল্লেখ করবেন আপনার ফেসবুক পেজে। কেউ সেখানে ক্লিক করে সেই সেবা নিলে বা কিছু কিনলে আপনি অর্থ পাবেন। অনেক ক্ষেত্রে কেউ ক্লিক করলেই আপনি অর্থ পাবেন। ক্যাশ-ক্লিক নামে একটি সফটঅয়্যার রয়েছে ফেসবুকে যা পিটিসি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
. কিছু বিক্রি করা। ফেসবুক পেজ যেহেতু প্রচারের যায়গা হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেহেতু তার মাধ্যমে প্রচার করে কিছু বিক্রি করা যেতেই পারে। যারা অর্থ দিয়ে ফেসবুক বন্ধু কেনেন তারাও এই উদ্দেশ্যেই কেনেন।
. নিজস্ব ওয়েবসাইটের সাথে ফেসবুক ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়াতে পারেন। হয়ত লক্ষ্য করেছেন প্রতিটি ওয়েবসাইট ফেসবুকে একটি পেজ ব্যবহার করেন প্রচারের কাজে। আর প্রচারেই প্রসার।
ফেসবুকের জন্য সফটটঅয়্যার তৈরী করে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে কিছুটা প্রোগ্রামিং জানতে হবে, তবে ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করেই জানার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু পাবেন। বহু ওয়েবসাইট রয়েছে শেখানোর জন্য।
আয়ের পদ্ধতি যাই হোক না কেন, আপনার প্রথম প্রয়োজন ফেসবুক একাউন্ট এবং সেখানে যথেষ্ট পরিমান বন্ধু। যদি এখনও সেটা না থাকে আপাতত এখান থেকেই শুরু করুন।ফেসবুকের জন্য সফটটঅয়্যার তৈরী করে বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে কিছুটা প্রোগ্রামিং জানতে হবে, তবে ভয় পাবেন না। শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করেই জানার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু পাবেন। বহু ওয়েবসাইট রয়েছে শেখানোর জন্য।
আর যদি ফেসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে নিচের নিয়মে আয় শুরু করুন।
ইন্টারনেটে সহজে আয়ের জন্য fast2earn এফিলিয়েশন
ইন্টারনেট থেকে সহজে আয়ের সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি এফিলিয়েশন। কোন কোম্পানীর হয়ে প্রচার করবেন। এফিলিয়েশন থেকে আয় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাদের সাইটে ভিজিটর পাঠালে প্রতি ভিজিটরের জন্য টাকা পাবেন, কেউ সদস্য হলে আরো বেশি টাকা পাবেন, কিছু বিক্রি হলে তারথেকেও বেশি কমিশন পাবেন। প্রচার করতে পারেন নিজের ওয়েবসাইটে, ব্লগে, ফেসবুক-টুইটারে কিংবা এগুলি যদি নাও থাকে শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করেও অন্যের কাছে লিংক পাঠাতে পারেন। সেই লিংকে কেউ ক্লিক করলে আপনি টাকা পাবেন।
. নিজের নাম এবং ইমেইল এড্রেস দিন।
. পছন্দমত পাশওয়ার্ড টাইপ করে দিন।
সদস্য হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। সাথেসাথেই আপনার একাউন্ট তৈরী হবে। নিজের একাউন্টে ঢুকুন।
সদস্য হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। সাথেসাথেই আপনার একাউন্ট তৈরী হবে। নিজের একাউন্টে ঢুকুন।
. Banners লেখা বাটনে ক্লিক করুন। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের ব্যানার দেখতে পাবেন। কোন বিজ্ঞাপন থেকে কত আয় হবে সেটাও দেখা যাবে। পছন্দমত কোন বিজ্ঞাপন ব্যবহারে জন্য তার সাথে দেয়া Get Banner Code বাটনে ক্লিক করুন। সেখানে কোড পাওয়া যাবে।
. কোডটি কপি করুন এবং আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইমেইল ইত্যাদি যায়গায় ব্যবহার করুন। সেখানে ব্যানারটি দেখা যাবে।
আপনার কত আয় হয়েছে সেটা আপনার সাইটে লগ-ইন করলেই দেখা যাবে। তারা টাকা দেয় পেপল ছাড়া এলার্ট-পে এবং ব্যাংকচেকের মাধ্যমে। কাজেই বাংলাদেশ থেকে ব্যবহার করতে সমস্যা নেই।
এলার্ট পে এর সদস্য না হয়ে থাকলে এখনই সদস্য হয়ে নিন এবং আয় শুরু করুন। সাধারনভাবে প্রতিজন লিংকে ক্লিকের জন্য (একই ব্যক্তির বারবার ক্লিক করা যাবে না) আয় ৭ সেন্ট, সেই লিংক থেকে কেউ সদস্য হলে ১.৮ ডলার এবং কেউ কিছু কিনলে ১৫% কমিশন এটাই নিয়ম। তবে বিজ্ঞাপনভেদে তারতম্য আছে।
যত বেশি প্রচার করতে পারবেন আপনার আয় তত বেশি। কাজেই যদি ব্লগ না থাকে তাহলে ব্লগ তৈরী করে নিন। এই সাইটে ব্লগ তৈরীর টিউটোরিয়াল রয়েছে।
0 Comments: